রুট ক্যানাল – কখন, কেন, কীভাবে, কোথায়?

দাঁতের চিকিৎসায় ব্যবহৃত পদ্ধতিগুলোর মধ্যে কার্যকর একটি পদ্ধতি রুট ক্যানাল। অনেক রুগী রুট ক্যানালে অনীহা প্রকাশ করেন, দাঁতে ভয়ংকর ব্যথা লাগবে এই ভয় পান। কিন্তু সঠিকভাবে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের হাতে চিকিৎসা করালে, রুট ক্যানাল তেমন যন্ত্রণাদায়ক বা জটিল চিকিৎসা নয়।

অনেকে প্রশ্ন করেন, রুট ক্যানাল চিকিৎসা কী বা রুট ক্যানাল করা কেন প্রয়োজন? কীভাবে জানবো যে আমার রুট ক্যানালের প্রয়োজন আছে কি না এবং এটি করার সময় করণীয় কি? তাই আপনাদের জন্য একজন ডেন্টিস্টের দৃষ্টিকোণ থেকে রুট ক্যানেলের প্রতিটি ধাপ উল্লেখ করা হল: 

রুট ক্যানাল চিকিৎসা কি? 

রুট ক্যানাল চিকিৎসা দাঁতের জন্য ব্যবহৃত একটি পদ্ধতি, যা ক্ষয় হওয়া দাঁত, দাঁতের স্নায়ু এবং আক্রান্ত মাড়ি সারিয়ে দাঁতকে না ফেলে সংরক্ষণ করার পদ্ধতি। নানা কারণে দাঁতে গর্ত বা ক্ষয় দেখা দেয়। যদি সেই গর্ত দাঁতের অ্যানামেল, ডেন্টিনকে ভেদ করে দাঁতের মজ্জাকে আক্রান্ত করে, দাঁতে প্রদাহ সৃষ্টি করে তখন দাঁতের রুটের ক্যানালের যে চিকিৎসা দেওয়া হয়, সেটি সাধারণত রুট ক্যানাল নামে পরিচিত। রুট ক্যানাল চিকিৎসা বা আরসিটি পদ্ধতিতে দাঁতের সংক্রমিত নার্ভ বা রুট ক্যানাল পরিষ্কার, দাঁত না ফেলে দাঁতকে ব্যথামুক্ত ও রুট ফিলিং করা হয়। 

সময়মতো দাঁতের চিকিৎসা না করলে দাঁতের ভিতরের রক্তনালী এবং স্নায়ুগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তখন পুঁজ, হয়, ফুলে যায়, ব্যথা হয়। তাই রুগীর দাঁতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ডেন্টিস্টরা সময়মতো রুট ক্যানাল করার পরামর্শ দেন। রুট ক্যানাল চিকিৎসায় দাঁতকে এন্ডোডন্টিক চিকিৎসার মাধ্যমে রক্ষা করা হয়।

কেন রুট ক্যানাল চিকিৎসা প্রয়োজন? 

আপনি প্রায়ই দাঁত ব্যথা নিয়ে ডেন্টিস্টের কাছে আসেন, মাঝে মাঝে প্রচন্ড ব্যথা ফোলা নিয়ে আসেন, তখন ডেন্টিস্ট আপনাকে পরীক্ষা করে এক্স-রে দেখে রুট ক্যানাল করার পরামর্শ দেন। রুট ক্যানাল চিকিৎসার উদ্দেশ্য হলো দাঁতের ভিতরে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ এবং ভবিষ্যতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো এবং আক্রান্ত দাঁতকে রক্ষা করা। এটি সময়সাপেক্ষ একটি চিকিৎসা পদ্ধতি হলেও এর প্রতিটি পর্যায়ে পুনঃসংক্রমণের ঝুঁকি কমিয়ে দাঁতকে ফেলে না দিয়ে সংরক্ষণ করার যথাসম্ভব চেষ্টা করা হয়।

রুট ক্যানাল চিকিৎসা কী এবং এর প্রয়োজনীয়তা ও খুঁটিনাটি সম্পর্কে বুঝতে হলে প্রথমে আমাদের দাঁতের গঠনের বিভিন্ন অংশ সম্পর্কে বুঝতে হবে।  

# এনামেল- খালি চোখে দেখা যায় এটি দুধ সাদা রঙের দাঁতের শক্ত স্তর, যা দাঁতের উপরের অংশকে ঢেকে রাখে। এনামেল শক্ত ও মোটা হয় এবং ডেন্টিন ও পাল্পকে বাইরের পরিবেশ থেকে রক্ষা করে। 

# ডেন্টিন- এটি এনামেল-এর নিচে হলুদাভ স্তর এবং দাঁতের বেশিরভাগ গঠন ডেন্টিনই তৈরি করে। ডেন্টিন স্তরে দাঁতের ক্ষয় পৌঁছালে দাঁত সংবেদনশীল (সেন্সিটিভিট) হয়।

# পাল্প- এটি দাঁতের মাঝখান বা ভিতরে লাল রঙের অংশ, যা স্নায়ু ও রক্ত ​​সরবরাহ করে দাঁতকে জীবিত রাখে। পাল্পকে দাঁতের হৃদয় বলা হয়। রুট ক্যানাল মূলত দাঁতের রুটের ভিতরের একটি টানেলের মতো, যা পাল্পের মাধ্যমে প্রসারিত হয়।  পাল্প স্তরে দাঁতের ক্ষয় পৌঁছালে দাঁতে প্রদাহ শুরু হয়। 

ক্ষয় হয়ে যাওয়া বা ভাঙ্গা দাঁত চিকিৎসা করানো না হলে রুট ক্যানালে প্রবেশের মাধ্যমে নার্ভে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঘটে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই সংক্রমণ এতটাই তীব্র হয় যে, মাড়ি ফুলে গিয়ে ফোড়ার মতো হতে পারে। সেই ইনফেকশন রুটের শেষ মাথায় এপেক্স এরিয়াতে হয় এবং দাঁতকে টোকা (পারকার্শন) দিলে দাঁতে ব্যথা পাওয়া যায়। মূলত দাঁতের ক্ষয় থেকে সৃষ্ট ব্যাকটেরিয়া দাঁতের গভীরে চলে গেলে রুট ক্যানালের নার্ভ ও রক্ত সরবরাহ বিঘ্নিত হয়, দাঁতের মজ্জা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে রুট ক্যানাল চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। দাঁতের পাল্প ও রুট ক্যানাল যদি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয় তাহলে দাঁতের চিকিৎসায় দুটি বিকল্প থাকে-

# দাঁতটি তুলে ফেলা

# দাঁতে রুট ক্যানাল চিকিৎসা করা। 

দাঁতের চিকিৎসা না করালে কী হবে?

অনেকেই তীব্র ব্যথা এবং অস্বস্তিবোধের জন্য দাঁতের চিকিৎসা করাতে অনীহা প্রকাশ করেন। চিকিৎসা ছাড়াই দাঁতের ভিতরের রক্তনালী এবং নার্ভগুলো মারাত্মকভাবে সংক্রমিত হয়, যার ফলে পুঁজ হতে পারে, ফুলে যেতে পারে। সাধারণত রুট ক্যানালের শেষ প্রান্তে পুঁজ জমে ইনফেকশন সৃষ্টি করে দাঁতে প্রদাহ হয়। ফুলে যাওয়া গুরুতর হলে মুখ, চোখ বা ঘাড়ের চারপাশে ফোলাভাব সৃষ্টি হয়। এক দাঁত থেকে ব্যথা অন্য দাঁতে প্রবাহিত হতে পারে। জমে থাকা পুঁজ থেকে সিস্ট, টিউমার থেকে ক্যান্সারও হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে আপনাকে সরাসরি হাসপাতালে যেতে হতে পারে। দাঁতের চিকিৎসা না করলে দাঁতের মাড়ির চারপাশের হাড়ও ক্ষয় হতে পারে। 

রুট ক্যানাল চিকিৎসার সাধারণ লক্ষণ এবং উপসর্গগুলো কী কী?

# সংক্রমিত দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া বা পুঁজ বের হওয়া।

# নির্দিষ্ট দাঁতে তীব্র ব্যথা। 

# দাঁত দিয়ে খাবার চিবাতে কষ্ট হও। 

# গরম-ঠান্ডা, টক মিষ্টি খাবার ও পানীয় খেলে দাঁতে শিরশির লাগা।

# খাবার খাওয়া বাদেও দাঁতে তীব্র ব্যথা হওয়া।

# ব্যথায় সারা রাত ঘুমাতে না পারা।

রুট ক্যানাল চিকিৎসা প্রতিরোধে করণীয়? 

# দিনে ২ বার দাঁত ব্রাশ করা এবং নিয়মিত ফ্লস করা।

# প্রতি ৬ মাস অন্তর ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে নিয়মিত চেকআপ এবং দাঁত পরিষ্কার করা। নিয়মিত যত্ন নিলে বড় ক্ষতির ঝুঁকি কমায়। 

# যদি ডেন্টিস্ট মনে করেন যে দাঁতে ক্ষয় আছে ও ফিলিং করা প্রয়োজন, তাহলে দেরি না করে সেটি করে ফেলুন। কারণ দেরি করলে ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়ার ও নার্ভকে সংক্রমিত করার ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং ফলস্বরূপ রুট ক্যানাল চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

রুট ক্যানাল করানোর খরচের কথা চিন্তা করে হলেও দাঁতের যত্ন নিয়ে এর স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখা উচিৎ। নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা, নিয়মিত ফ্লস করা এবং নিয়মিত দাঁত পরিষ্কারের জন্য প্রতি ৬ মাস অন্তর ডেন্টিস্টের কাছে গেলে, রুট ক্যানাল চিকিৎসার চেয়ে খরচ অনেক কম হবে। 

রুট ক্যানাল চিকিৎসার সময় কি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়া যাবে?

অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন কোন সংক্রমিত নার্ভকে সারিয়ে তোলার বিকল্প হতে পারে না, কারণ দাঁতটি তার নিজস্ব ইকোসিস্টেমের মধ্যে রয়েছে এবং তাই আমরা যেসব অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করি সেগুলো ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত দাঁতের রুট ক্যানেল ও পাল্পে পৌঁছাতে পারে না। তবে যদি মনে হয় সংক্রমিত দাঁতের পাশে ফুলে গিয়েছে বা যদি জ্বর অনুভূত হয় সেক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক সাহায্য করতে পারে। কিন্তু যদি এমতাবস্থায় শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যা দেখা দেয় বা মাড়ি বেশি ফুলে যায় ও ব্যথা বেশি হয়, সেক্ষেত্রে অবিলম্বে ডেন্টিস্ট বা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। 

রুট ক্যানেল চিকিৎসায় প্রাথমিকভাবে দাঁতের ভিতর থেকে ব্যাকটেরিয়া অপসারণ করা হয়, যা রুট ক্যানেল চিকিৎসার সময় সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার না করার আরেকটি কারন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে উন্নতমানের পরিস্কার পরিচ্ছন্ন জীবাণুমুক্ত ডেন্টাল রুম আপনাকে এন্টিবায়োটিকমুক্ত রুট ক্যানাল চিকিৎসা দিতে পারে।

রুট ক্যানাল চিকিৎসার ধাপ?

৩টি ধাপে দাঁতের রুট ক্যানাল চিকিৎসা করা হয়। এটি সময়সাপেক্ষ একটি চিকিৎসা পদ্ধতি, যার প্রক্রিয়াও সুদীর্ঘ হতে পারে। তবে পুনরায় সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে ৩ ধাপে এটি করা হয় এবং এর ফলে রুগীরাও সর্বোত্তম ক্লিনিকাল ফলাফল পান। ধাপগুলো হলো; 

প্রথম ধাপ- এক্সটির্পেশন: লোকাল এনেস্থেসিয়া দিয়ে রাবার ড্যাম ও ক্ল্যাম্প স্থাপন করা হয়। হ্যান্ডপিস ও বারের মাধ্যমে দাঁত ফুটো করে দাঁতের রুটের প্রতিটি ক্যানালের মুখ বের করা হয়। ক্যানালের সাইজ এপেক্স লোকেটর দিয়ে মেপে সেই সাইজের রিমার, ফাইল, ব্রোচ ব্যবহার করে দাঁতের নার্ভ অপসারণ, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং দাঁত মেডিকেট করার মাধ্যমে রুট ক্যানেল পরিষ্কার করা হয়। দাঁতের অবস্থার উপর ভিত্তি করে এই প্রক্রিয়ায় ২০-৪৫ মিনিট সময় লাগতে পারে।

দ্বিতীয় ধাপ- ইন্সট্রুমেন্টেশন: এখানে রাবার ড্যাম এবং ক্ল্যাম্প স্থাপন করা হয়। দাঁত যেন ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রিত ও ব্যথামুক্ত হয় তা নিশ্চিত করতে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট, ইডিটিএ, নরমাল স্যালাইন দিয়ে রুট ক্যানেলে যথাযথভাবে পরিষ্কার করা হয়। দাঁতের অবস্থার উপর ভিত্তি করে এই প্রক্রিয়ায় ৩০-৬০ মিনিট সময় লাগতে পারে।

তৃতীয় ধাপ- অবচ্যুরেশন: এখানে রাবার ড্যাম ও ক্ল্যাম্প স্থাপন করা হয়। দাঁত সম্পূর্ণ ব্যথামুক্ত হলে অবচ্যুরেশন করা হয়। রুট ক্যানেলগুলোকে সম্পূর্ন শুকিয়ে ‘গাটা পার্চা’ নামক কৃত্তিম পাল্প ক্যানালের সাইজ অনুযায়ী ব্যবহার করে বিশেষ উপায়ে ভরাট করে চিকিৎসা সম্পূর্ণ করা হয়। দাঁতের অবস্থার উপর ভিত্তি করে এই প্রক্রিয়ায় ৩০-৬০ মিনিট সময় লাগতে পারে।

 

রুট ক্যানাল চিকিৎসার ৩টি ধাপ নিয়ে বিস্তারিত নিম্নে দেওয়া হলো

১. এক্সটির্পেশন: ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে প্রাথমিকভাবে দাঁত পরিষ্কার করা।

ক) রুগীরা মূলত দাঁতের পাল্প সংক্রমিত হওয়ায় দাঁতে তীব্র ব্যথা বা ফোলা নিয়ে ডেন্টাল ক্লিনিকে যায়।

খ) পারকাশন, পাল্পেশন, কোল্ড টেস্ট এবং এক্স-রে’র মাধ্যমে দাঁতের রোগ নির্ণয় করা হয়।

গ) রুট ক্যানাল চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা নিশ্চিত হলে বিস্তারিত তথ্য, প্রক্রিয়া এবং খরচ সম্পর্কে জানানো হয়। 

ঘ) আপনি যদি রুট ক্যানাল চিকিৎসায় রাজি হন সেক্ষেত্রে চিকিৎসার প্রথম ধাপ, অর্থাৎ এক্সটির্পেশন শুরু করা হয়। 

ঙ) অতঃপর দাঁত অবশ করে দাঁতের চারপাশে একটি রাবার ড্যাম ও ক্ল্যাম্প স্থাপন করা হয়। রাবার ড্যাম দাঁতকে পাটি থেকে আলাদা করে এবং লালা পড়া থেকে সূরক্ষিত রাখে। একইসাথে প্রক্রিয়া চলাকালীন আমাদের ব্যবহৃত ছোট যন্ত্রগুলো মুখের মধ্যে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও রোধ করে।

চ) রাবার ড্যাম ও ক্ল্যাম্প স্থাপনের পর এন্ডোমটোর বা টার্বাইন হ্যান্ডপিসে বার বা ফাইল লাগিয়ে দাঁত ফুটো করে রুট ক্যানেলের মুখ বের করে ক্যানাল পরিষ্কার করা হয়।

ছ) ব্যাকটেরিয়া নির্মূলে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল দ্রবণ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা হয়। 

জ) দাঁতের ভিতরে ওষুধ রেখে দ্বিতীয় ধাপ, অর্থাৎ ইন্সট্রুমেন্টেশন শুরু হওয়া পর্যন্ত দাঁতের উপর একটি অস্থায়ী ফিলিং রাখা হয়। 

ঝ) কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ সম্পন্ন হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ফুলে যাওয়া ও ব্যথা অনুভূত হতে পারে, যা সাধারণত ২৪ ঘন্টা পর কমে যায়।

২. ইন্সট্রুমেন্টেশন: যথাযথ পরিষ্কার ও ওষুধ প্রদান

ক) সাধারণত প্রথম ধাপের ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে পর রুগী আসেন। কিছু ক্ষেত্রে একই অ্যাপয়েন্টমেন্টে রুট ক্যানাল চিকিৎসার প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ সম্পন্ন করা হয় এবং সেক্ষেত্রে রুগীকে তা জানিয়ে দেওয়া হয়।

খ) দ্বিতীয় ধাপ, অর্থাৎ ইন্সট্রুমেন্টেশন মূলত প্রথম ধাপের মতো হলেও রুট ক্যানাল পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে আরও ভালোভাবে কাজ করা হয় যাকে ড্রেসিং বলা হয়, যাতে রুট ক্যানালের ভিতরে অবশিষ্ট সকল ব্যাকটেরিয়া ও ইনফেকশন দূর করা যায়। ক্যানালের মধ্যে সামান্য পরিমাণ পাল্প টিস্যু থেকে গেলে রুট ক্যানাল দাঁতে ব্যথা হতে পারে।

গ) রুট ক্যানালের দৈর্ঘ্যে প্রস্থের পরিমাপও নেওয়া হয় এবং সেটি নিশ্চিত করতে এপেক্স লোকেটর ব্যবহার করা হয়। 

৩. অবচ্যুরেশন: রুট ক্যা্নাল ফিলিং

ক) প্রথম ধাপের ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেব্যাকটেরিয়া ও ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা তা নিশ্চিত হয়ে গেলে (দাঁত ব্যথা বা অস্বস্তিবোধের লক্ষণ বা উপসর্গমুক্ত হলে) মূল ফিলিং সম্পন্ন করা হয়।

খ) দাঁতের উপর রাবার ড্যাম ও ক্ল্যাম্প রেখে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল দ্রবণ দিয়ে ক্যানাল পরিস্কার করা হয়। অতঃপর ক্যানাল শুকিয়ে ক্যানালের মধ্যে ‘গাটা পার্চা পয়েন্ট’ (রাবার পয়েন্ট যা কৃত্তিম পাল্প হিসাবে ব্যবহার করা হ্য) এবং সিলারের মাধ্যমে ক্যানালের দৈর্ঘ্য প্রস্থ মিলিয়ে সিল করা হয়। তারপর গাটা পার্চা কাটার গিয়ে গাটা পার্চা পয়েন্টগুলি পুড়িয়ে সিল শেষ করা হয়। 

গ) গাটা পার্চা লাগানো পরবর্তী পদক্ষেপগুলোর উপর ভিত্তি করে দাঁতে অস্থায়ী বা স্থায়ী ফিলিং সম্পন্ন করা হয়।

গ) অতিরিক্ত ভাঙ্গা দাঁতে পোস্ট বা পিন বসিয়ে কোর বিল্ড আপ করে দাঁতের পুরা গঠন তৈরি করা হয়। 

পরবর্তী পদক্ষেপ কি? কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কি? রুট ক্যানেল চিকিৎসার পর দাঁতের কি হয়? 

# এক্ষেত্রে কি স্থায়ীভাবে ফিলিং এবং/অথবা দাঁতে ক্রাউন পরানো প্রয়োজন? কোন পোস্ট প্রয়োজন? কিছু ক্ষেত্রে ফিলিংয়ে ধারণক্ষমতা বৃদ্ধিতে একটি পোস্ট ব্যবহার করা হয়। এটি তখনই হয় যখন মূল গর্ত গভীর থাকে এবং দাঁতের কোন অবশিষ্ট অংশ থাকেনা। পোস্টটি রুটের ভিতরে স্থাপন করা হয় এবং ফিলিং দিয়ে কোর বিল্ড আপ করে দাঁতের গঠন দিয়ে স্থায়ীভাবে ধরে রাখতে সহায়তা করে। এক্ষেত্রে ক্রাউনও বসানো যেতে পারে। 

# এখানে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোন ভয় নেই। অনেকেই মনে করেন যে রুট ক্যানাল চিকিৎসা করা উচিত নয় কারণ এর ফলে মুখের ভিতরে ইনফেকশন ছড়াতে পারে। কিন্তু ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। রুট ক্যানাল চিকিৎসার কোন ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার রয়েছে এমন কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।

# এটি জানা জরুরি যে, রুট ক্যানাল চিকিৎসার পর দাঁতের মধ্যে নার্ভ না থাকায় সে স্থানে কোন অনুভূতি বা সংবেদনশীলতা থাকবে না। তাই সেই অবস্থায় দাঁতের উপর কামড় দিলে একটু অদ্ভুত কিন্তু মজার অনুভূতি হতে পারে। রুট ক্যানাল মানে দাঁত মরে যাওয়া। সেই ক্ষেত্রে দাঁতে টক ঝাল মিষ্টি অনুভূতি থাকবে না কিন্তু গরম ঠান্ডা অনুভূতি থাকবে।

# এসময় দাঁতে ভিন্নরকম এক অনুভূতি হবে। অদ্ভুত হলেও, অনেকে এটিকে অবশ হাত-পায়ের মতো বলে ব্যাখ্যা করেছেন। অর্থাৎ ওই অঙ্গটি অনুভব করা যায় তবে নিস্তেজ অবস্থায় থাকে।

ক্রাউন ব্যবহার কেমন হবে? ডেন্টিস্ট রুট ক্যানাল চিকিৎসার পর দাঁতের উপর ক্রাউন রাখার পরামর্শ দেন কেন?

# দাঁতের অবস্থার উপর ভিত্তি করে ডেন্টিস্টরা দাঁতের দীর্ঘমেয়াদী ও সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে রুট ক্যানাল ৩ মাসের মধ্যে দাঁতের উপরে একটি ক্রাউন রাখার পরামর্শ দিতে পারে।

# এর মূল কারণ হলো, দাঁতের নার্ভে ইনফেকশন এবং রুট ক্যানাল চিকিৎসা হলে সেটি ব্যথামুক্ত হবে কিন্তু দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। খাবার চিবানোর সময় সাধারণত পিছনের মোলার দাঁতে প্রচুর কামড় পড়ে এবং রুট ক্যানাল করা দাঁত ভেঙ্গে যাওয়ার চান্স থাকে। তাই দাঁতের উপর একটি ক্রাউন বসানো হয়, যা দাঁতে প্রয়োজনীয় শক্তি যোগায় ও মজবুত করে। 

# রুট ক্যানাল করা দাঁতে ক্রাউন বসালে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়। প্র্যাট-এর (২০১৬) একটি গবেষণা দরুন বলা হয়, ‘এন্ডোডোনটিক্যালি চিকিৎসা করা দাঁতগুলোয় রেস্টোরেশন বা ফিলিং (এমালগাম বা কম্পোজিট) দিয়ে বিল্ড-আপ রিস্টোর হয়। ফলে দাঁতে ক্রাউন বসানো দাঁতের তুলনায় এন্ডোডোনটিক্যালি চিকিৎসা করা দাঁত বা ফিলিং ভেঙ্গে যাওয়ার ঝুঁকি ২.২৯ গুণ বেশি থাকে।‘ সেই গবেষণায় আরও বলা হয়, ‘রুট ক্যানালের ৪ মাসের মধ্যে ক্রাউন বসানো দাঁতের তুলনায় ৪ মাস পর ক্রাউন বসানো দাঁত ভেঙ্গে যাওয়ার ঝুঁকি ৩ গুণ বেশি।‘   

আপনি কি আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য সেরা ডেন্টিস্ট খুঁজছেন?

তাহলে আপনাকে প্রাভা হেলথ এ স্বাগতম! 

বিভিন্ন কারণে দাঁতে বাসা বাধে জীবাণু, হতে পারে দাঁত ব্যথা, মাড়ি ফুলে যাওয়া, পোকা; এছাড়া জমে থাকা খাদ্যকণা থেকে হতে পারে প্লাক, যা থেকে হতে পারে দাঁত ক্ষয়। তাই ডেন্টিস্টরা দাঁতের সুরক্ষায় বছরে অন্তত ২ বার ডেন্টাল চেকআপের পরামর্শ দেন। আপনার দাঁতের যেকোনো চিকিৎসায়, আমাদের আছে:

১. স্মাইল প্যাকেজ

২. আমাদের আছে অভিজ্ঞ ২ জন ডাক্তার ও আধুনিক সব যন্ত্রপাতি

ডা. লুবনা শারমিন

বিডিএস (ডিডিসি), পিজিটি (ডিডিসি)

কন্সাল্ট্যান্ট, ডেন্টিস্ট্রি, প্রাভা হেলথ

অভিজ্ঞতা: ২৭ বছর

ডা. নাফিস উদ্দিন চৌধুরী

বিডিএস (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), পিএইচডি (টোকিও, জাপান)

কনসালটেন্ট, ডেন্টিস্ট্রি, প্রাভা হেলথ

অভিজ্ঞতা: ২২ বছর

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা কেন গুরুত্বপূর্ণ

শেষ কবে আপনি ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন?

সত্যিকার অর্থে, আমাদের বেশিরভাগের মধ্যেই তখনই ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেয়ার প্রবণতা থাকে,  যখন আমাদের স্বাস্থ্যের কোন সমস্যার সমাধান প্রয়োজন হয়।  অর্থাৎ, বেশিরভাগ লোকের স্বাস্থ্যসেবার জন্য সক্রিয় পদ্ধতির পরিবর্তে প্রতিক্রিয়াশীল পদ্ধতির দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। যাইহোক, আমরা বুঝতে পারি না যে স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণগুলি – যা বিভিন্ন রোগের কারণ – তা আমাদের চারপাশে বিদ্যমান। স্বাস্থ্য অপরীক্ষিত থাকলে, স্বাস্থ্য ঝুঁকিগুলো দিন দিন বৃদ্ধি পেতে পারে, আর যা পরবর্তীতে নিয়ন্ত্রণের অযোগ্য বিন্দুতে পৌঁছায় এবং যার ফলে প্রায়শই তখন সেই সমস্যা নিরাময় করা খুব ব্যয়বহুল হয়ে যায়।

 

তাহলে সমাধান কি? বিশ্বস্ত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর থেকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন। আপনার কেন নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত তা পড়ুন।

 

অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কমায় এবং জীবনকাল বাড়ায়

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা আপনাকে মৃদু থেকে গুরুতর বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরোধমূলক ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে, পুরো শরীর পরীক্ষা করার সময়, আপনার শরীর এবং মন ফিট এবং ঠিক আছে কিনা তা নির্ধারণ করতে আপনাকে মাথা থেকে পা পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়ে থাকে।

 

উদাহরণ স্বরূপ, বিভিন্ন রোগের সীমারেখার অবস্থা (অর্থাৎ, যেটি এখনও তৈরি হয়নি কিন্তু তা করার বৃদ্ধি পাওয়ার বা আরো গুরুতর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে) পর্যবেক্ষণ এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। এটি শুধুমাত্র আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি করে না, বরং রোগকে উপশম করে আপনার আয়ু বাড়ায়।

 

স্বাস্থ্যসেবা খরচ কমায় এবং সময় বাঁচায়

বড় অংকের মেডিকেল বিলের চিন্তা আমাদের বেশিরভাগের জন্য ভয়ের কারণ – এবং ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার জন্য শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করা প্রায়শই এই ধরনের উচ্চ বিলের কারণ। উদাহরণস্বরূপ, স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময়, আপনার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা পরিমাপ করা হয়। যদি তখন বোঝা যায় যে আপনার উচ্চ রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা রয়েছে তবে এটি প্রিডায়াবেটিসের ইঙ্গিত হতে পারে। যাইহোক, এটি এমন একটি পর্যায় যা পরিমিত পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ এবং ব্যায়ামের দ্বারা সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। আপনার বাকি জীবনের জন্য ইনসুলিন – যা ডায়াবেটিস রোগীদের প্রয়োজন – এর পরিবর্তে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুসরণ করা অনেক কম ব্যয়বহুল।

 

উল্লেখ করার মতো নয়, অসুস্থ হওয়া আপনার জীবনকে উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যাহত করতে পারে যদি এর জন্য আপনাকে স্কুল বা কাজ থেকে ছুটি নেওয়ার প্রয়োজন হয়। যেকোন স্বাস্থ্য ভীতি থেকে এগিয়ে থাকা এটিও প্রতিরোধ করতে পারে।

 

রোগের অগ্রগতি দূর করে

দেরিতে শনাক্ত হলে কিছু রোগের চিকিৎসা ও নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতে পারে (এই ধরনের রোগের সবচেয়ে বড় উদাহরণ অবশ্যই ক্যান্সার)। কিন্তু নিয়মিত নির্ধারিত শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে, আপনার ডাক্তারের পক্ষে রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি শনাক্ত করা সহজ হয়ে যায় রোগটি আপনার জন্য বিপজ্জনক বা জীবনের জন্য হুমকি হওয়ার আগেই।

 

আপনাকে দীর্ঘস্থায়ী জীবনধারা পরিবর্তন করতে সাহায্য করে

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে, আপনি কেবল সম্ভাব্য রোগের সংস্পর্শে আসার বিষয়েই নয়, এর কারণগুলিও জানতে পারবেন। যেহেতু স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্যাকেজগুলো – যেগুলো প্রাভা হেলথ-এ রয়েছে, তা চিকিৎসা ক্ষেত্রগুলোর বিস্তৃত পরিসরকে অন্তর্ভুক্ত করে। এখানে আপনি বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করবেন, যারা আপনাকে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ অভ্যাসগুলো দূর করার জন্য আপনাকে সতর্ক করে দিবে।

 

উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি শারীরিক ব্যায়াম নিয়ে অবহেলা করে থাকেন বা আপনার মধ্যে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস থেকে থাকে, তবে আপনার রক্ত এবং প্রস্রাব পরীক্ষায় এর প্রমাণ পাওয়া যাবে। এই শরীরের এই বিষয়ে জ্ঞান থাকলে আপনি আপনার লাইফস্টাইল পরিবর্তন করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারবেন, যা আপনাকে অসুস্থতা এবং দুর্বলতা থেকে দূরে রাখবে।

 

আপনাকে আধুনিক স্বাস্থ্য প্রযুক্তির সুবিধা দেয়

আপনি যখন বাৎসরিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন, তখন আপনি স্বাস্থ্যের মূল্যায়নের জন্য ব্যবহৃত আধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হবেন। ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার মান এখন আগের চেয়ে আরো উন্নত, ও দিন দিন আরো উন্নত হচ্ছে। প্রতি বছর, স্বাস্থ্য প্রযুক্তি এগিয়ে চলেছে, যেকোনো রোগকে দ্রুত এবং আরও ভালভাবে শনাক্ত করতে এবং চিকিৎসার মান উন্নয়নে করতে সহায়তা করার দৃঢ় প্রত্যয়ে৷

 

আপনার স্বাস্থ্য পরীক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকা নিশ্চিত করবে যে আপনি এবং আপনার পরিবার এই স্বাস্থ্য প্রযুক্তির অগ্রগতির সম্পূর্ণ সুবিধা নিতে পারেন।

আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা আপনাকে ও আপনার পরিবার সকল সদস্যের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

 

আপনার কি ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্যাকেজ বেছে নেওয়া উচিত?

প্রাভা হেলথ-এ, বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্যাকেজ রয়েছে, যেগুলো আপনার বয়স, লিঙ্গ এবং কিছু ক্ষেত্রে, আপনার জীবনধারার জন্যও উপযোগী। উদাহরণস্বরূপ, বয়স্ক ব্যক্তিদের তুলনায় অল্প বয়স্ক ব্যক্তিদের কম স্ক্রিনিং প্রয়োজন হতে পারে। একইভাবে, মহিলাদেরও কিছু অতিরিক্ত পরীক্ষা প্রয়োজন, যেমন স্তন ক্যান্সার স্ক্রীনিং।

এছাড়াও, প্রাভা হেলথ-এ, আপনি নির্দিষ্ট স্ক্রিনিংয়ের জন্য বিশেষ প্যাকেজগুলো পেতে পারেন যেমন COVID সম্পূরক স্বাস্থ্য পরীক্ষা, কার্ডিয়াক স্ক্রীনিং, ডায়াবেটিস স্ক্রীনিং, ডায়াবেটিস চেক প্যাকেজ, থাইরয়েড এবং হাইপারলিপিডেমিয়া প্যাকেজ, হোম হেলথ চেক প্যাকেজ, ইত্যাদি। সর্বোত্তম ধারণা হলো একজন বিশেষজ্ঞ এর সাথে পরামর্শ করা, যিনি আপনাকে এবং আপনার পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রাসঙ্গিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্যাকেজ বেছে নেওয়ার জন্য আপনাকে গাইড করতে পারেন।

 

আপনি উদ্বিগ্ন হতে পারেন যে, স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল, তবে এটি এমন নয়। উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার জন্য আপনাকে বিদেশ ভ্রমণ করতে হবে না। প্রাভা হেলথ-এ, আমাদের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ল্যাব সুবিধা এবং পরামর্শ পরিষেবাগুলির সাথে, আপনি এবং আপনার পরিবার আপনার বাড়িতে থেকেই আপনার প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারেন। এটি কেবল আরও সুবিধাজনক নয়, এটি নিঃসন্দেহে আপনার সময় এবং অর্থ সাশ্রয় করে। এছাড়া, এখন আপনাকে আর রিপোর্ট এবং প্রেসক্রিপশন হারানোর ভয় পাওয়ারও দরকার নেই। কারণ আপনার সমস্ত রিপোর্ট এবং প্রেসক্রিপশন আমাদের সুপার অ্যাপে সংরক্ষিত আছে, যেখানে আপনি একটি ক্লিকেই সমস্ত আপডেট দেখে নিতে পারবেন। 

 

শেষ জিনিসটি যা কেউ ই চায় না, তা হলো তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত খারাপ খবর, তবে এটি প্রায়শই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এড়িয়ে যাওয়ার স্বাভাবিক পরিণতি। তাই রোগ আপনাকে খুঁজে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন না – প্রথমে রোগ খুঁজে বের করুন এবং তা ধ্বংস করুন। আজই আপনার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিন।

Why Doing Regular Health Checks is Important

When was the last time you went to the doctor?

 

If we are being honest, most of us tend to schedule doctor’s appointments only when we have an existing health problem that needs solving. That is to say, most people have a reactive approach to healthcare rather than a proactive one. However, we don’t realize that health risk factors – which contribute to various diseases – exist all around us. Left unchecked, these factors might keep building up, often reaching an irreversible, unmanageable point and often very costly to handle.

 

The solution? Get regular health checks with a trusted healthcare provider. Read on for why you should make this into a regular practice.

 

Lowers the risk of getting sick and increases the lifespan

Regular health checks play an important preventative role in protecting you from different diseases, ranging from mild to severe. In particular, during full-body checks, you will be examined from head to toe to determine whether your body and mind are fit and fine.

 

For instance, many borderline conditions (i.e., one that has not yet developed but has a high chance of doing so) can be controlled through monitoring and preventative measures. This not only improves your health but also increases your lifespan by keeping disease at bay.

Reduces healthcare costs and saves time

The thought of a hefty medical bill is daunting to most of us – and waiting until the last moment to consult a doctor is often the cause of such high bills. For example, during a health check, your blood glucose levels are measured. If it is discovered that you have high blood glucose levels, this might be an indication of prediabetes. However, this is a condition that is handled easily, with a bit of care towards diet and exercise. As you can imagine, following a healthy lifestyle is much less expensive than paying for insulin – which diabetes patients require – for the rest of your life.

 

Not to mention, getting sick can disrupt your life significantly if it requires you to take time off from school or work. Staying ahead of any health scares can prevent this as well.

Eliminates disease progression

Some diseases might be difficult to treat and control if identified late (the most obvious example of such a disease is, of course, cancer). But with regularly scheduled physical examinations, it’s easier for your doctor to detect and identify early warning signs of diseases before they become dangerous or even potentially life-threatening.

 

Helps you make lasting lifestyle changes

With regular health checks, you’re not just getting to know about exposure to potential diseases but also the causes for it. Because health check packages – like the ones we have here at Praava Health – are comprehensive, encompassing a wide range of medical fields of study, you will be in contact with various specialists who can alert you to bad habits you need to eliminate.

 

For example, if you’ve neglected physical activity or have unhealthy food habits, there will be evidence of this in your blood and urine tests. Having this knowledge allows you to take the steps required to make the lifestyle changes that will keep illness and infirmity at bay.

 

Lets you take advantage of the latest health tech advancements

When you make health checks a yearly practice, you will be exposed to the latest medical technologies used to evaluate health. The future of healthcare is happening now, with rapid advancements in digital healthcare technologies. With each year, health tech is progressing by leaps and bounds, helping to identify and treat diseases faster and better.

 

Staying consistent with your health checks will ensure that you and your family can take full advantage of these health tech progressions.

 

What Kind of Health Check Package Should You Choose?

At Praava Health, there are numerous comprehensive Health Check Packages available, which are tailored to your age, sex, and in some cases, also your lifestyle. For example, younger people may need fewer screening compared to older people. Similarly, women also need a few additional tests, such as Breast Cancer Screening.

 

Besides, at Praava Health, you can avail of special packages for specific screenings such as COVID supplementary health check, cardiac screening, diabetes screening, diabetes check package, thyroid and hyperlipidemia package, home health check package, etc. The best idea is to consult a specialist who can guide you in choosing relevant health check packages for you and your family members.

 

You might be concerned that getting a health check is time-consuming and expensive, but this does not have to be the case. Contrary to popular belief, you do not have to travel overseas in order to receive advanced healthcare. At Praava Health, with our internationally accredited lab facilities and consultation services, you and your family can get the care you need right in your home soil. Not only is this more convenient, it undeniably saves you time and money. What’s more, you do not need to fear losing reports and prescriptions anymore. All your reports and prescriptions are stored in our super app, where you can access all updates with a single tap.

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও আদর্শ খাদ্যতালিকা

আমরা সবাই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের সাথে সুস্থ জীবনযাপন করতে চাই। কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এটি কীভাবে সম্ভব? কীভাবে আমরা খাদ্যে সঠিক পরিমাণে মাইক্রো ও ম্যাক্রো নিউট্রিয়েন্টের ভারসাম্য বজার রাখবো? এর জন্য আদর্শ খাদ্যতালিকা থেকে আনুপাতিক হারে খাবার বেছে নিতে হবে, তবেই লম্বা সময়ের জন্য স্থায়ীভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব। আমাদের আদর্শ বা দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ৫ রকম খাবার রাখা উচিৎ; শাক-সবজি ও ফলমূল, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং দুগ্ধ জাতীয় খাবার। এসব খাবার আমাদের শরীরে ক্যালোরির জোগান দেয়। তাই আমাদের শরীরে শক্তি ও পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা মেটাতে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য  এসব খাবার সঠিক পরিমাণে খেতে হবে। 

 

অনেকেই ইটওয়েল গাইড, ফুড পিরামিড বা মাই প্লেট সম্পর্কে শুনে থাকবেন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত হলেও তাদের কাজের ধরণ এক। এগুলো আমাদের বিভিন্ন খাবার-পানীয় কতটুকু পরিমাণে খাওয়া উচিৎ ইত্যাদি তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সুস্থ থাকতে এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখতে সাহায্য করে। এই গাইডটি শিশু ব্যতীত প্রায় সকলের জন্যই প্রযোজ্য, কারণ শিশুদের পুষ্টি চাহিদা বাকিদের তুলনায় আলাদা। দুরারোগ্য বা গুরুত্বর অবস্থার রোগীদের নিজ নিজ প্রয়োজন মতো গাইডটি অনুসরণ করা উচিৎ। এই গাইড আমাদের সুষম খাদ্য ও পরিমাণ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ধারণা প্রদান করে, তবে ক্যালোরি ও প্রোটিন সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোন ধারণা দেয় না। কারণ প্রত্যেক ব্যক্তির বয়স, লিঙ্গ, উচ্চতা, ওজন, শারীরিক ও মানসিক গঠন বা অবস্থা ভেদে ক্যালোরি ও প্রোটিনের চাহিদা ভিন্ন হয়ে থাকে।  

 

আদর্শ খাদ্যতালিকা সম্পর্কে    

শাক-সবজি ও ফলমূল: সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে দৈনিক কমপক্ষে ৪/৫ রকম শাক-সবজি বা ফলমূল খাওয়া উচিৎ। 

উপকারিতা– ভিটামিন, মিনারেলস বা খনিজ, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটোকেমিক্যাল-এর মতো বিভিন্ন পুষ্টি গুনাগুণ ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, হৃদরোগের মতো দুরারোগ্য রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে, ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধির বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। শাক-সবজি অ ফলমূলে অপচনীয় ফাইবার থাকে, যা আমাদের পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে।    

পরিমাণ– ১টি আপেল; একমুঠো আঙ্গুর (৮০ গ্রাম); দৈনিক ১৫০ মি.লি. (সর্বোচ্চ) জুস অথবা স্মুদি; দৈনিক ৩০ গ্রাম বা ২ টেবিল চামচ পরিমাণ (সর্বোচ্চ) কিশমিশ, এপ্রিকটসের মতো শুকনো ফল ইত্যাদি। তবে মনে রাখতে হবে যে জুস, স্মুদি ও শুকনো ফলে ঘনীভূত চিনি বিদ্যমান থাকে। 

টিপ– লেবু, কমলালেবু, স্ট্রবেরি, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি’র মতো ভিটামিন সি-যুক্ত শাক-সবজি ও ফলমূল শ্বাসতন্ত্র সুস্থ রাখে।   

 

কার্বোহাইড্রেট: এটি ৪ ভাগে ভাগ করা যায়। আলু, খাদ্যশস্য, গম, বার্লি, চালের মতো স্টার্চি বা কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেটস; ফল, দুধ (ল্যাকটোজ), দই থেকে পাওয়া ন্যাচরাল সুগার; মিষ্টি, জুস, সিরাপ থেকে পাওয়া ফ্রি বা অ্যাডেড সুগার; এবং আস্ত শস্যদানা, শাক-সবজি ও ফলমূলে থাকা ফাইবার। 

উপকারিতা– এই খাদ্যগুলো আমাদের শরীরের শক্তির প্রধান উৎস। তবে এটি ব্যক্তির বাছাইয়ের উপরও নির্ভর করে। ব্রাউন রাইস (লাল চাল) অথবা রুটি/পাস্তা, ওটস, রাই, তুষ বা ভুসি, ভুট্টা ইত্যাদির মতো গোটা শস্য আমাদের শরীরে শক্তি, ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইটোকেমিক্যাল, ফাইবারসহ নানান পুষ্টির জোগান দেয়। এসব খাবার খেলে দীর্ঘক্ষণ আমাদের পেত ভরা থাকে, ফলে ঘন ঘন বা অতিরিক্ত খাবারের প্রয়োজন হয় না। পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা বজায়, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ, পরিপাকতন্ত্র ঠিক রাখতেও এসব খাবার ভীষণ কার্যকরী।    

পরিমাণ– ১৫০ গ্রাম (১/৪ প্লেট) ব্রাউন রাইস, ১ টি রুটি, ৩০ গ্রাম প্লেইন কর্ন/কর্নফ্লেক্স খাওয়া যেতে পারে। 

টিপ– সাদা পাউরুটি বা সাদা ভাত শরীরে জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। এগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি, ওজন কমাতে বাঁধা সৃষ্টি এবং ডায়াবেটিস আক্রান্তের কারণ হতে পারে। 

 

প্রোটিন: মাছ, মাংস, বিশেষ করে মুরগির মাংস, সামুদ্রিক খাদ্য, ডিম, মটরশুটি, ডাল, সয়া পণ্য, বাদাম ইত্যাদি খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন বিদ্যমান। কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের অধিক পরিমাণে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। 

উপরকারিতা– প্রোটিন শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখতে, হাড়/পেশী মজবুত করতে, শারীরিক বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। পশুর মাংস থেকে আমরা সর্বাধিক প্রোটিন পাই, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। চর্বিহীন বা কম-চর্বিযুক্ত মাংস খাওয়া (চামড়া বাদে) এবং প্রক্রিয়াজাত মাংস বর্জন করা উত্তম। উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিন শরীরের জন্য বেশ উপকারী। এতে চর্বির পরিমাণ কম থাকে এবং শরীরে ভিটামিন, মিনারেলস ও উচ্চ-মাত্রায় ফাইবার সরবরাহ করে। এছাড়া সামুদ্রিক ও তৈলাক্ত মাছ যেমন; পাঙ্গাশ, কাতলা, কার্প বা নলা মাছ, ইলিশ, স্যালমন ইত্যাদি আমাদের শরীরে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের জোগান দেয়, যাতে আনস্যাচ্যুরেটেড ফ্যাট থাকে ও হার্টের জন্য উপকারি। 

পরিমাণ- ১২০–১৪০ গ্রাম পরিমাণ মুরগি বা মাছের টুকরা (হাতের তালুর আকারের), ১-২ টা ডিম, ১ টেবিল চামচ বীজ বা শস্য জাতীয় খাবার, একমুঠ লবণহীন বাদাম (বাদাম থেকে প্রোটিন ও চর্বি পাওয়া গেলেও এতে উচ্চ মাত্রায় ক্যালোরি থাকে), ৩-৪ টেবিল চামচ মসুর ডাল।

টিপপ্রক্রিয়াজাত মাংস বর্জন করা উত্তম কারণ এটি হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের কারণ হতে পারে। উদ্ভিদে থাকা প্রোটিনে কোন কোলেস্টেরল নেই। যারা কিডনি ও লিভারের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের সীমিত পরিমাণে প্রোটিন খাওয়া উত্তম।    

 

দুগ্ধজাত খাবার: কম চর্বিযুক্ত দুধ, কম চর্বিযুক্ত দই, পনির, ল্যাকটোজমুক্ত দুধ, ফোর্টিফাইড সয়া দুধ ও দই ইত্যাদি দুগ্ধজাতীয় খাবার হিসেবে পরিচিত। 

উপকারিতাদুগ্ধজাত খাবারও প্রোটিনের একটি উৎস। এছাড়া এটি আমাদের শরীরে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন ডি (ফোর্টিফাইড খাদ্য), পটাসিয়াম, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন বি ১২, ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম ইত্যাদি জোগান দেয় এবং শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখতে ও হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। এতে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়ের পাশাপাশি দাঁত মজবুতে উপকারি, বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য। 

পনির নিয়ে কিছু কথা– যাদের উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল আছে, তাদের জন্য পনির বর্জন অথবা স্বল্প পরিমাণে খাওয়া উত্তম। এতে উচ্চমাত্রায় স্যাচ্যুরেটেড ফ্যাট ও সোডিয়াম থাকে। তবে মোজারেলা, ফ্যাটা, কটেজ পনিরে এসবের মাত্রা কম থাকে।  

পরিমাণ- ২০০ মি.লি. (মাজারি আকারের গ্লাস) কম চর্বিযুক্ত দুধ, ১২৫ গ্রাম (৪ টেবিল চামচ) কম চর্বিযুক্ত দই, ৩০ গ্রাম মোজারেলা, ফ্যাটা, কটেজ পনির। 

টিপ– ক্রিম পনির, মাখন ইত্যাদি খাবারে উচ্চ মাত্রায় চর্বিযুক্ত উপাদান রয়েছে, ফলে এগুলো বর্জন করাই উত্তম। ডায়াবেটিস রোগীদের মাথায় রাখতে হবে যে, কম চর্বিযুক্ত দই মানে যে এতে চিনির পরিমাণ কম তা নয়। কম চর্বিযুক্ত দইও রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে।

 

স্বাস্থ্যকর চর্বি: স্বাস্থ্যকর চর্বি জাতীয় খাবারের মধ্যে বাদাম, শস্য, মাছ এবং অলিভ, ক্যানোলা, সানফ্লাওয়ার, সয়া, কর্ন ইত্যাদি তেল উল্লেখযোগ্য। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে চর্বি উপকারি তবে তার হতে হবে পরিমিত ও স্বাস্থ্যকর। 

উপকারিতা– চর্বি আমাদের শক্তি জোগায়। এছাড়া ভিটামিন এ, ডি, ই শোষণে এবং শরীরে গুরুত্বপূর্ণ হরমোন তৈরিতে, শরীর উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। চর্বি ওমেগা ৩ ও ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড সরবরাহ করে, যা আমাদের মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের সুস্থতায় উপকারি। তবে চর্বির ধরন ও গুণমান সম্পর্কে বুঝতে হবে। 

চর্বির ধরন ও গুণমান– এটি ৩ প্রকার হয়ে থাকে;

১) স্যাচ্যুরেটেড ফ্যাট- বা ‘ক্ষতিকর চর্বি’ যা পশুর মাংস, মাংসজাত খাবার, মাখন, ঘি, দুগ্ধজাত খাবার, নারিকেল ও তিলের তেল ইত্যাদি খাবার হতে পাওয়া যায়। অতিরিক্ত স্যাচ্যুরেটেড ফ্যাট কোলেস্টেরল, হৃদরোগ, স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। 

২) আন-স্যাচ্যুরেটেড ফ্যাট- বা ‘স্বাস্থ্যকর চর্বি’ পলি-আন-স্যাচ্যুরেটেড বা মনো-আন-স্যাচ্যুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড হিসেবে পরিচিত। এটি সাধারণত উদ্ভিদ জাতীয় খাবার যেমন; শস্যম বাদাম, জলপাই, অ্যাভোকাডো’র মতো খাবার হতে পাওয়া যায়। পলি-আন-স্যাচ্যুরেটেড ফ্যাট ওমেগা ৩ এবং ওমেগা ৬ হিসেবেও পরিচিত। এটি শরীরে রক্ত জমাটে বাধা দেয় এবং হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখে। অন্যদিকে, জলপাই ও সরিষার তেল হতে মনো-আন-স্যাচ্যুরেটেড ফ্যাট পাওয়া যায়।  

৩) ট্রান্স ফ্যাট- এটি শরীরের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর। বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাত খাবার ও উদ্ভিজ্জ তেলে ট্রান্স ফ্যাট থাকে। কেক, বিস্কিট, ফাস্টফুড, বিভিন্ন মার্জারিন ইত্যাদি খাবার দীর্ঘদিন পর্যন্ত খাওয়ার উপযোগী রাখতে অনেকে হাইড্রোজেনেটেড উদ্ভিজ্জ তেল ব্যবহার করে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর।  

পরিমাণ– ১২০-১৪০ গ্রাম (হাতের তালুর আকারের) তৈলাক্ত মাছ, অর্ধেক অ্যাভোকাডো, ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, ১ টেবিল চামচ ফ্ল্যাক্সসীড, ১-২ টি আখরোট বা বাদাম। 

টিপ– চর্বি জাতীয় খাবারে ক্যালোরি বেশি (প্রতি গ্রামে ৯ ক্যালোরি) থাকে। ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েলে ১৩৫ ক্যালোরি বিদ্যমান। তাই খাদ্যাভ্যাসে স্যাচ্যুরেটেড ফ্যাট বর্জন করে আন-স্যাচ্যুরেটেড ফ্যাটযুক্ত খাবার খাওয়া উত্তম।   

 

পানি এবং স্বাস্থ্যকর পানীয়: ডিহাইড্রেশন বা পানিশূণ্যতার প্রতিরোধের সর্বোত্তম পন্থা হলো পানি পান করা। মেটাবলিজম, শ্বাসপ্রশ্বাস, ঘাম, প্রস্রাব-পায়খানার মাধ্যমে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। খাবার হজমে, ত্বক সুন্দর রাখতে, শরীরের টিস্যু ও জয়েন্ট সুস্থ রাখতে, গরম থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত পানি পান করা উচিৎ। চা-কফিকে পানীয় হিসেবে ধরা যায়, তবে চিনিমুক্ত বা স্বল্প পরিমাণ চিনি ব্যবহার করা উচিৎ। ক্যালোরি বৃদ্ধি করতে পারে এমন পানীয় বর্জন করা উত্তম। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক ২-৩ লিটাল পানি পান করা উচিৎ। 

 

শরীরকে সচল রাখা: ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেই নয়, যেকোন মানুষের শরীর ও মনকে সুস্থ রাখতে শরীর চর্চা, ব্যায়াম, শারীরিক পরিশ্রম ভীষণ কার্যকরী। অ্যারোবিক বা কার্ডিওভাস্কুলার ব্যায়াম, যেমন; হাঁটা, দৌড়ানো, সাতার কাটা, সাইকেল চালানো ইত্যাদি হার্ট ও ফুসফুস সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া যোগব্যায়াম মানুষকে সার্বিকভাবে সুস্থ ও বলবান হতে সাহায্য করে। প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি সপ্তাহে ১৫০-৩০০ মিনিট ব্যায়াম করা উচিৎ। 

 

যদি এমন একটি খাবার থাকতো যা খেলে আমাদের শরীর প্রয়োজনীয় সকল উপাদান পেত, তাহলে কতো ভালই না হতো! তবে যেহেতু তা সম্ভব নয়, তাই শরীরের চাহিদা অনুযায়ী খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নেওয়া উচিৎ।  

 

তাজরিন মল্লিক (আরডি)

BSc Dietetics and Nutrition (UK)

Grid (National Kidney Foundation, USA)

Clinical Dietitian, National Kidney Foundation and Research Institute

Visiting Consultant, Praava Health

Eating your way to health

We all want to maintain a healthy diet and lifestyle, but what exactly does it mean in our day-to-day lives? How do we balance or get the right amount of macro and micronutrients in our diet? The key is to understand the different food groups and develop good eating habits by choosing foods from each group proportionally, that are sustainable in the long term. We should plan our daily meals around 5 food groups such as fruits & vegetables, carbohydrates, protein, dairy and healthy fats (unsaturated fat). We get varying amounts of calories from all these food groups. Therefore, a key factor is eating the right amount (portion/proportion) from each group to meet our energy & nutrient requirements and maintain a healthy weight.

 

You all may have heard about the Eatwell guide, food pyramids, or My plate of different food groups used in different parts of the world with different names but they all provide the same information. The guide shows us different types of foods & drinks and the portions necessary to maintain a healthy, balanced diet. This guide applies to the majority of the population except for children whose nutritional needs are different. People with chronic and acute conditions may need to adapt the guide as per their own individual needs. The guide gives us an idea of the average portions required to maintain a balanced diet but does not specify the calories and protein. Remember, each individual’s calories and protein requirements are different as they are based on their weight, height, gender, age, level of physical activity, and also medical condition.

 

So what are the different food groups?

Benefits: Include a rainbow of colors as it provides us with different types of vitamins, minerals, fibers, antioxidants and phytochemical prevents chronic condition (diabetes, cholesterol, heart disease,), fight against cancer, and boost our immune system. Fruits and vegetables contain indigestible fiber which keeps our digestible system healthier

A portion would be 1 apple, a handful of grapes (80g), juice or smoothie not more than 150ml per day, dried fruits(raisins, apricots) not more than 30g (2 tbsp) per day. It’s important to keep in mind that dried fruits, fruit juice, and smoothies have concentrated sugar.

Tip: vitamin C rich fruits & vegetable lemons, oranges, strawberries, capsicum, and broccoli reduces respiratory tract infections

  •  Carbohydrates: Can be divided into 4 categories. Starchy or complex carbohydrates: potatoes, grains, wheat, barley, rice. Natural sugars from fruits, milk (lactose), and yogurt. Free or added sugar in sweets, juice, and syrups. Dietary fiber indigestible part of plant foods present in wholegrain, fruits, vegetables and legumes.

Benefits: These foods are our main source of energy, but Its important the type or quality of carbohydrate you choose. Aim to have wholegrain varieties such as brown (lal) rice/bread/pasta/chapatti, oats, rye, bran, millets as they provide us with energy, B vitamins, iron, zinc, magnesium, phytochemicals and dietary fiber. Wholegrains keep us fuller for longer, therefore prevents overeating. Also, helps maintain blood sugar levels, therefore, lowering the risk of developing diabetes, lowering cholesterol, and helping our digestive system. 

A portion would be: 1 slice of wholegrain bread/1 roti/ 1 chapati , 150 g (1/4 plate )of brown rice, 30g of plain corn/bran flakes

Tip: White bread & white rice is highly processed refined carbohydrate that spikes blood sugar levels, interferes with weight loss & promotes diabetes. 

  •  Proteins: meat, fish, seafood, poultry, eggs, beans, pulses, nuts and seeds: If you are suffering from Covid 19 it is advisable to have high protein diet. 

Benefits: Proteins are building blocks of the body required for repair, growth, development, bone/muscle maintenance. Protein from animal sources are of high biological value or complete proteins, more efficiently used by the body, but its important to eat lean/low-fat meat and poultry (without skin) and avoid processed meats. Plant-based proteins are good sources as they are naturally low in saturated fat, provide high fiber, vitamins, and minerals. Vegetarian options in the protein group are beans, peas, and lentils, nuts, seeds, and soy products. 

Omega 3 fatty acid: Oily fish and seafood such as pangaish, Katla, carp, trout, hilsa, and salmon provide us with omega 3 fatty acids or fats (type of unsaturated fat especially good for the heart).

A portion would be: 120g to 140g piece of chicken or fish for main meals (size of your palm), 1-2 eggs, 1 tablespoon of seeds, just a handful of unsalted nuts ( even though nuts are good source of protein & fats, they are high in calories), 3-4 tablespoon of lentils.

Tip: Intake of red and processed meat is linked to heart disease, stroke, diabetes and cholesterol. Plant protein has no cholesterol.

(note: People with certain health conditions such as kidney and liver conditions may need to limit protein intake)

  • Dairy: Includes low-fat milk and milk products such as low-fat yogurt, cheese, lactose-free milk and fortified soy milk and yogurt. Cream cheese, sour cream, cream, and butter have high-fat content and should not be included in the diet. 

Benefits: Dairy is another source of protein and provides us with important nutrients such as calcium, phosphorus, vitamin D (fortified food items), potassium, riboflavin, vitamin B 12, magnesium and selenium vital for health and maintenance and strong bones. Even though some countries do not include dairy as a food group due to high saturated fat content, dairy products are our main source of calcium which is vital for maintaining strong bones and teeth, especially for the elderly. The trick is to have a lower fat version of dairy.

Facts about cheese: People who suffer from high blood pressure and cholesterol should avoid cheese or use it sparingly. Cheese contains high saturated fat and sodium, lower fat versions are mozzarella, feta or cottage cheese.

A portion would be: 200ml of low-fat milk (1 medium-sized glass), 125g of low-fat yogurt (4 tablespoons), 30g or matchbox size low fat cheese (mozzarella, feta or cottage).

Tip: Diabetics should keep in mind low fat yogurt may not always mean lower sugar, therefore low fat yogurt may spike blood sugar levels.

 

Healthy fats: Good fats include vegetable oils such as (olive, canola, sunflower, soy, and corn), nuts, seeds, and fish.

Yes fat is beneficial for our diet. What does this mean? A small portion of fat is part of a healthy balanced diet. 

Benefits: Fats provides energy, help absorb fat-soluble vitamins such as vitamin A, D and E and produces some important hormones. Fats also support cell functions and keep our body warm. Importantly, fats provide omega 3 and omega 6 fatty acids which are essential for a healthy brain and our nervous system. But, It is important to understand the type and quality of dietary fats. 

Types & qualities of dietary fats: There are 3 types.

  1. Saturated fat– ‘bad’ fat mainly found in animal-based products meats, meat products, butter, ghee, lard, dairy products and tropical oils like coconut, and palm. Saturated fats are solid at room temperature. It is referred to as bad fat as too much-saturated fat can raise the level of LDL cholesterol in your blood, which increases your risk of heart disease and stroke.
  2. Unsaturated fat- ‘good’ fat either polyunsaturated or monounsaturated fatty acids. Found generally in plant foods such as seeds, nuts, olives, and avocados. Polyunsaturated fat is known as omega-3 and omega-6 They cannot be produced by the body, prevents blood clotting, and regulates heart rhythm so a small amount is needed from your diet. The oily fish best source of omega 3, plant sources include walnuts, flaxseeds, linseeds or green leafy vegetables. Omega-6 is found in nuts, seeds, and vegetable oils/spreads, such as rapeseed, corn, or sunflower oil.

Monounsaturated fats are olive and rapeseed oils/spreads.

  1. Trans fat is worst for the body as it increases disease risk found mostly in processed foods and hardened vegetable oils. Partially hydrogenated vegetable oils are used by manufacturers to prolong the shelf life of processed foods-  cakes, biscuits, fast foods, and some types of margarine.

A portion would be: 120g-140g (size of your palm) oily fish, half of an avocado, 1 tablespoon of olive oil, 1 tablespoon of flaxseeds, 1-2 walnuts (nuts contain good fats but high calories, if taken in large portion may lead to weight gain).

Tip: fats are high in calories (9kcal/g), 1 tablespoon (15g) of olive oil contains 135 calories.  Limit intake. Replace saturated fats with unsaturated fats in your diet.

 

Water and healthy drinks: Water is the best choice for hydration. It replenishes the body with the fluids needed without adding extra calories. The body loses fluids through metabolism, breath, sweat, and through waste. Hydration is essential to maintain proper digestion, maintain healthy skin, lubricate tissues and joints and also keep the body from overheating. Tea and coffee also count as fluids but adding sugar means extra calories. Some beverages should be avoided or consumed in moderation such as sugary drinks, fruit juice, full-fat milk, and also drinks with low-calorie sweeteners. A healthy adult should drink 2-3 liters (2000ml-3000ml) of fluids per day. Requirement depends on weight, activity levels, and also climate.

 

Be active: Exercise is not just for weight loss it plays a key role in both mental and physical well-being for people of all age groups. All types of exercise are beneficial. Aerobic/Cardiovascular activity such as walking, jogging, swimming, and bicycling improves the heart and lungs’ fitness. Resistance or strength training improves muscle strength and endurance. Exercises such as yoga are flexibility & balance training needed for improving flexibility, body control, and stability, and improves performance for all activities. Adults should engage in a range of physical activities for at least 150-300 minutes per week.

 

If there was one food item that met all our nutritional needs, life would have been very simple! But as we all know, we need to take a healthy balance from a wide variety of food items to make sure our bodies get balanced nourishment and energy.

 

To make the right food choices we can use a visual guide, let’s call it ‘My Healthy Platter’. ‘My Healthy Platter’ simply suggests the food groups on which you should plan your daily meals. Also, the right proportion to adopt healthy eating habits: Half a plate of vegetables, 1/4 plate of healthy proteins, and 1/4 plate of whole grains. It shows the importance of hydration, and being active as part of a healthy lifestyle.

Tazreen Mallick RD

BSc Dietetics and Nutrition (UK)

Grid (National Kidney Foundation, USA)

Clinical Dietitian, National Kidney Foundation and Research Institute

Visiting Consultant, Praava Health

 

আকুপাংচার – ওষুধ ছাড়াই সুস্থ হওয়ার পন্থা

দেহের বিভিন্ন পয়েন্টে নানান আকৃতির জীবাণুমুক্ত সূচ ঢুকিয়ে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত রেখে চিকিৎসা করাই আকুপাংচার। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ১৯৭৯ সালে আকুপাংচারকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং ২০০৩ সালে একই সংস্থা উল্লেখ করে যে, ১০৩টি শারীরিক সমস্যার সমাধানে আকুপাংচার কার্যকর ভূমিকা রাখে। অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি যখন বেশ কিছু রোগের চিকিৎসায় ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে, তখন সে রোগগুলোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃত আকুপাংচারচীনে উদ্ভুত প্রায় ৫ হাজার বছরের পুরনো এই চিকিৎসাপদ্ধতি বর্তমানেও ১২০টি দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে। 

যেসব রোগে আকুপাংচার কার্যকর:

  • অনিদ্রা (insomnia)
  • অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা (stress)
  • স্বাভাবিক মাথা ব্যাথা
  • মাইগ্রেন এর ব্যথা
  • দীর্ঘমেয়াদী বিষণ্ণতা
  • কোমর ব্যাথা
  • সার্ভাইকাল ও লাম্বার  ডিস্ক  প্রল্যাপস(Cervical and lumber disk prolapse)
  • ফ্রোজেন সোল্ডার
  • সায়াটিকা (sciatica)
  • বাতের ব্যাথা, (Arthritis) 
  • স্পোর্টস ইনজুরি (Argonomy)
  • অটিজম, সেরিব্রাল পলসি, ডাউন সিন্ড্রোম
  • হাঁপানি,  সাইনোসাইটিস 
  • শুষ্ক কাশি
  • হার্টের ব্যাথা (Anginal pain)

 

  • স্ট্রোক থেকে সৃষ্ট প্যারালাইসিস
  • ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া
  • ডায়বেটিক নিউরোপ্যাথী 
  • পলিনিউরাইটিস, পলিনিউরোপ্যাথী
  • ফ্যাসিয়াল পলসি (গাল বাকা)
  • হাত কাপা (tremor) 
  • খিচুনি (seizure)
  • ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া
  • পুরুষদের যৌন  সমস্যা 
  • স্ত্রীদের বন্ধাত্ব
  • বিভিন্ন স্ত্রীরোগ (মাসিক সংক্রান্ত)
  • দীর্ঘমেয়াদি পেটের সমস্যা 
  • আই বি এস (irritable bowel syndrome)
  • বদহজম
  • দীর্ঘমেয়াদী ঘন ঘন মলত্যাগ 
  • ধূমপান পরিত্যাগ (smoking cessation)

 

আকুপাংচার কিভাবে কাজ করে:

আকুপাংচারবিদ্যা অনুযায়ী, মানুষের শরীরে  অনেকগুলো চ্যানেল বা মেরিডিয়ান রয়েছে যার মধ্যেই আকুপাংচার পয়েন্ট অবস্থিত ।  এই চ্যানেলের মাধ্যমে Biological Energy প্রবাহিত হয়।  চাইনিজ ভাষায় এই Energy কে  (Qi) ‘চি’ বলা হয়। সুস্থ থাকতে হলে এই ”চি” এর ভারসাম্য থাকা অপরিহার্য। কোন কারণে “চি” প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হলে ও ভারষাম্য নষ্ট হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায় ফলে, বিভিন্ন রোগের উপসর্গ দেখা দেয় । চিকিৎসার সময় কিছু ‘ডিস্টার্বড পয়েন্ট’,’ডিস্টাল পয়েন্ট’ ও কিছু ‘লোকাল পয়েন্ট’ খুঁজে বের করা হয় এবং তাদের উপর জীবাণুমুক্ত আকুপাংচার নিডেল অনুপ্রবেশ করানো হয়।  সরু নিডেল শরীরের বিভিন্ন পয়েন্টে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে নার্ভ স্টিমুলেট করে চিকিৎসা করা হয়। এই স্টিমুলেশনের ফলে রক্তসঞ্চালন ও অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ে এবং মস্তিষ্ক উদ্দীপিত হয়, যার ফলে ব্যথানাশক রাসায়নিক উপাদান নিঃসরণ করে। 

মেডিক্যা্ল ফিজ়িয়োলজির মতে, মানুষের সমস্ত রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা শরীরের মধ্যেই রয়েছে। সেখানে অসামঞ্জস্য হলেই মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।  আরও বিশদভাবে বলতে গেলে, প্রাকৃতিকভাবেই আমাদের শরীরে ব্যথা কমানোর হরমোন  আছে। এই হরমোন মস্তিষ্কের মিডব্রেন ও মেডুলা থেকে বের হয় এবং দেহের বাইরের অঙ্গগুলো থেকে ব্যথার অনুভূতি বয়ে আনা ”নার্ভ ইম্পালসের” সঙ্গে একত্রিত হয়ে স্পাইনাল কর্ডে মিলিত হয়। মস্তিস্ক থেকে আসা, এই ব্যথা কমানোর নার্ভ ইম্পালস, এন্ডোরফিন হরমোন ক্ষরণ করতে সাহায্য করে। 

১৯৭০ এর দিকে বিজ্ঞানীরা এন্ডোরফিন নামক এই রাসায়নিক পদার্থ চিহ্নিত করেছিলেন যা ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে এবং আনন্দ দেয়।

গবেষণায় এটি এখন সুনিশ্চিতভাবে জানা গেছে যে, আকুপাংচার এই এন্ডোরফিনের ক্ষরণ বাড়ায় বা এন্ডোরফিনের প্রবাহ তৈরি করে। ফলে শরীরের এই নিজস্ব ব্যথা কমানোর ”নার্ভ ইম্পালস”,  সক্রিয় হয়ে শরীরের ব্যথা কমিয়ে দেয় ।  এ পদ্ধতিটি প্রায় সম্পূর্ণরূপে যন্ত্রণা বিহীন চিকিৎসা প্রদান করতে সক্ষম যা প্রযোজ্য আকুপাংচারিস্ট ফিজিশিয়ান এর কর্মদক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে। ক্ষেত্রবিশেষে এই চিকিৎসা মাত্র ১০থেকে ৩০ মিনিটকাল স্থায়ী হতে পারে।

আকুপাংচার চিকিৎসার বৈশিষ্ট্যসমূহ: 

১. আকুপাংচারের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। 

২. ওষুধের প্রয়োজন হয় না, তাই ওষুধজনিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। 

৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় সুতরাং পুনরায় রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা হ্রাস পায়। 

বলা বাহুল্য যে, অন্য কোন চিকিৎসা পদ্ধতিতে সম্ভব হয় না এমন কিছু জটিল রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব এই আকুপাংচার এর যথার্থ প্রয়োগ এর মাধ্যমে। তবে রোগীকে যথাযথ চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী আকুপাংচারিষ্ট ফিজিসিয়ানকে এই বিজ্ঞান সম্পর্কে যথাযথ শিক্ষা, পর্যাপ্ত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা রাখার কোনো বিকল্প নেই।

সময়ের সাথে এই আকুপাংচার পদ্ধতি এর নতুন সংস্করণ হিসেবে ইলেক্ট্রো আকুপাংচার ও লেজার আকুপাংচার এর ব্যাবহার উন্নত বিশ্বে চোখে পড়ার মতন ও ব্যাপক সমাদৃত।

How does eating healthy food and fasting in Ramadan affect the body?

As the Ramadan approaches, we are looking forward to breaking our fast with family and friends. It’s a time for celebration for 30 days and most Bangladeshis indulge in rich food with high calories, with less physical activity. Some of us may overlook the fact that, fasting( abstaining from food & drinks from dawn to dusk) can be beneficial for us if we maintain a healthy and balanced eating pattern. Evidence suggests, that by following simple guidelines it is possible for us to lose weight, and improve our blood pressure and cholesterol levels.

 

How does fasting affect the body?

 

Glucose is the body’s main source of energy which we mainly get from carbohydrates. It provides energy to our brain, muscle, and tissues to function and the excess is stored in the liver and muscles and converted to fat. The body actually enters fasting mode eight hours after the last meal. When it has replenished the stored glucose,  it starts burning fat for energy, hence some of us lose weight. It is important to note the body cannot store water, therefore, during fasting the kidneys tries to conserve the amount lost. It is critical to replenish the body with balanced nutrition and hydration between Seheri and Iftar to prevent fatigue and dehydration.

 

What to eat and drink for Seheri & Iftar

 

You have to balance your Iftar and seheri with key nutrients and include all food groups: 

-Complex carbohydrates (whole grains-oats, barley, brown bread & rice, fruits & vegetables, legumes) for long-lasting source of energy, 

-Fluid rich fruits and vegetables (example- watermelon, cucumber, tomato, lettuce) for vitamins & minerals, fibre & hydration

Low-fat dairy (low-fat yogurt, milk) for calcium, riboflavin, iodine

Protein-rich foods ( meat, fish, eggs, legumes, dairy) maintain muscle mass

-Small amount of healthy fats (olive oil, nuts, avocado, seeds) to absorb nutrients

 

Seheri- A lighter meal is preferable focusing on key nutrients. Choosing whole-grain varieties and fluid-rich foods keeps you fuller for longer and hydrated. 

 

Iftar- You can open your fast with 1-2 dates as is the tradition, remember dates are a source of fibre and potassium but also rich in calories. It is important to eat your Iftar slowly as eating too quickly may cause heartburn or bloating.

 

Hydration- Drink 1.5- 2 litres of fluids from Iftar to seheri to prevent dehydration and constipation. Break down your fluid intake, and sip gradually in intervals, drinking too quickly may cause bloating. Water hydrates you without adding extra calories. Milk and fruit-based drinks are best taken without added sugars.

 

Foods to avoid 

 

Salt, spices & seasonings– Better to avoid salty & spicy foods(pickles, olives, fries) as they absorb water from the body, increase acidity and stimulate thirst.

 

Sugar, processed & deep-fried foods- Low in nutrients, promote weight gain, indigestion, and thirst.

 

Caffeine- Tea and coffee have diuretic properties. Stimulates the body to lose water quickly.

 

Carbonated drinks– Carbon causes flatulence, causes a feeling of fullness, and prevents the body to use fluids.

 

Cold fluids- Drinking iced cold fluids beginning of Iftar reduces the efficiency of digestion leading to digestive disorders. Have it mildly cool and drink it slowly.

 

A person with any health condition and taking medications including pregnancy, breastfeeding, and diabetics should consult with a doctor before fasting.

 

Ms Tazreen Mallick (RD)
BSc Dietetics and Nutrition (UK)
Grid (National Kidney Foundation, USA)
Clinical Dietitian, National Kidney Foundation and Research Institute
Visiting Consultant, Praava Health

সবার প্রয়োজন ভিটামিন-ডি: যা জানা জরুরী

ভিটামিন ডি রৌদ্রজ্জ্বল ভিটামিন নামেও পরিচিত। এটিই একমাত্র ভিটামিন যা আমাদের শরীর সূর্যের রশ্মি থেকে তৈরি করে। ভিটামিন-ডি কে যদিও চর্বি দ্রবণীয় ভিটামিন বলা হয় কিন্তু বাস্তবে এটি একটি হরমোন। আমাদের প্রাণবন্ত স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন-ডি খুবই জরুরি কারণ এটি আমাদের শরীরের প্রায় সমস্ত ক্রিয়াকলাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ভিটামিন আমাদের হাঁড়ের স্বাস্থ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন-ডি আমাদের শরীরের ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে, আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে, পেশী গুলোর সঠিক কার্যকারিতায় সহায়তা করে, আমাদের হৃদযন্ত্র এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে সাপোর্ট করে।

 

বিভিন্ন গবেষণা থেকে দেখা যায়, ভিটামিন ডি এর ঘাটতি আবশ্যই একটি বড় চিন্তার বিষয় –

 

  • জন্মের জটিলতা – প্রি-একল্যাম্পসিয়া, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস এবং অকালে জন্মের ঝুঁকি বৃদ্ধির সাথে সম্পর্কিত

 

আমরা কীভাবে জানব যে আমাদের ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি রয়েছে?

 

যে কোনো বড় রোগের সম্ভাবনা প্রতিরোধ করার জন্য প্রত্যেকেরই নিয়মিত তাদের ভিটামিন ডি এর মাত্রা পরীক্ষা করা উচিত। কিছু লক্ষণ প্রতিনিয়ত খেয়ালে রাখা উচিত, যেমন- পেশী দুর্বলতা, জয়েন্ট এবং হাড়ে ব্যথা, ক্লান্তি, মন খারাপ থাকা।

 

ভিটামিন ডি ৩ টি উৎস থেকে পাওয়া যায়

 

সূর্য- প্রতিদিনের ভিটামিন ডি এর প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে দিনের মাঝামাঝি সময়ে খালি গায়ে সূর্যের আলোর নিচে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের এক্সপোজারই যথেষ্ট হতে পারে। তবে বেশ কিছু কারণ রয়েছে যা আমাদের ভিটামিন ডি গ্রহন করার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করেতে পারে, যেমন পৃথিবীর অবস্থান, ত্বকের এক্সপোজার, ত্বকের রঙ (দক্ষিণ এশীয়দের গাঢ় ত্বকের কারণে ঘাটতির সম্ভাবনা বেশি) এবং বয়স।  যদিও বাংলাদেশ একটি ক্রান্তীয় দেশ তবুও ভিটামিন ডি এর অভাব বিশেষ করে শিশু ও মহিলা জনসংখ্যার মধ্যে প্রকট।

 

খাদ্য- ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার রয়েছে  খুব বেশি পাওয়া যায় না এবং বেশিরভাগই প্রতিদিনকার প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট নয়। বেশ কিছু খাবারে এই ভিটামিন পাওয়া যায় যেমন-তৈলাক্ত মাছ-পাঙ্গাশ, ইলিশ, স্যামন, কার্প, ট্রাউট, লাল মাংস, ডিমের কুসুম এবং ভিটামিন ডি-দুধ, ব্রেকফাস্ট সিরিয়ালস, জুস।

 

সম্পূরক- আমাদের যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে সূর্যের এক্সপোজার থাকে তবে সম্পূরকের প্রয়োজন নাও হতে পারে তবে যেহেতু বাংলাদেশে মহিলা ও শিশুদের মধ্যে ভিটামিন ডি এর অভাব রয়েছে, তাই পরিপূরক গুলোর প্রয়োজন হয়। ২ ধরনের সম্পূরক D2 (ergocalciferol) এবং D3 (cholecalciferol) আছে। D3 প্রয়োজনীয়তা পূরণে অধিক কার্যকর এবং D2 নিরামিষাশীদের জন্য উপযুক্ত।

 

যেহেতু এটি একটি চর্বিযুক্ত দ্রবণীয় ভিটামিন, তাই স্বাস্থ্যকর চর্বির সাথে এই সম্পুরকগুলো গ্রহণ করা হলে এটি ভালোভাবে শরীরে কাজ করে। খাবারের সাথে পরিপূরক গ্রহণ করা উচিত। যে সকল ব্যক্তিরা দ্রুত মুটিয়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্যও সম্পূরক গ্রহণ করা দরকার কারণ তারা ভিটামিন ডি এর অভাবের জন্য এসব সমস্যায় আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হতে থাকেন।

 

আমাদের কতটুকু ভিটামিন ডি প্রয়োজন?

 

১ থেকে ৭০ বছর বয়সী বেশিরভাগ লোকের প্রতিদিন প্রায় ১০-১৫ মাইক্রোগ্রাম (৪০০-৬০০ আইইউ) ভিটামিন ডি প্রয়োজন। এই পরিমাণটিকে যথেষ্ট এবং নিরাপদ বলে মনে করা হয়, তবে যাদের অভাব রয়েছে তাদের জন্য প্রয়োজনীয়তার মাত্রা বেশি হতে পারে। জন্ম থেকে ১ বছর পর্যন্ত শিশুদের প্রতিদিন ৮.৫-১০ মাইক্রোগ্রাম (৩৪০-৪০০ আইইউ) এর মধ্যে ভিটামিন ডি প্রয়োজন।

 শরীরে খারাপ প্রভাব যেমন টক্সিসিটি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তেমন নেই তবে দীর্ঘ সময় ধরে যদি পরিপূরকের উচ্চ ডোজ গ্রহণ করা হয় তবে এটি ঘটতে পারে। অনেক সময় এটি ক্যালসিয়াম বিল্ডআপের কারণ হতে পারে যা হাড়কে দুর্বল করতে পারে।

 

তাজরিন মল্লিক (আরডি)
BSc Dietetics and Nutrition (UK)
Grid (National Kidney Foundation, USA)
Clinical Dietitian, National Kidney Foundation and Research Institute
Visiting Consultant, Praava Health

Every body needs Vitamin D: Here is everything you need to know

Vitamin D is our sunshine vitamin. The only vitamin our body makes itself from rays of the sun. It is called a fat soluble vitamin but in reality it is a hormone. It is vital for vibrant health as it plays key role in almost all our body functions. It is critical for our bone health as it balances the calcium and phosphorus levels in our body, strengthens our immune system, helps with proper functioning of muscles, supports our heart & mental health.

 

Deficiency is a major concern as research links it to

 

  • Birth complications– associated with increased risk of pre-eclampsia, gestational diabetes and pre term birth

 

How do we know we are deficient in vitamin D?

 

Everyone should check their vitamin D levels regularly to prevent any major concerns. Some signs may be muscle weakness, achy joints and bones, fatigue, low mood

 

There are only 3 sources of vitamin D

 

Sun- 15-20 minutes exposure to sunlight on bare skin in mid day can be enough to meet our vitamin D requirements per day, but there are factors that impacts our ability to absorb such as location of the earth, skin exposure, colour of the skin (south asian more prone to deficiency due to darker skin) and age.  Even though Bangladesh is a tropical country vitamin D deficiency is prevalent specially in children and female population.

 

Food- There are limited number of food that contain vitamin D, and are mostly insufficient to meet recommended daily needs. Oily fish- Pangaish, hilsa, salmon, carp. trout, 

red meat, egg yolks and food fortified with vitamin D- milk, breakfast cereals, juice 

 

Supplements- Supplements may not be needed if we have enough sun exposure but since Bangladesh has prevalent vitamin D deficiency among female and children, supplements are required. There are 2 kinds of supplements D2 (ergocalciferol) and D3 (cholecalciferol). D3 is more effective in meeting requirements and D2 is suitable for vegetarians.

 

Since it is a fat soluble vitamin it is best absorbed when taken with healthy fats. Supplements should be taken with food. Individuals in obese category need to take a supplement as they are more susceptible to deficiency.

 

How much vitamin D do we need?

 

Most people between the age of 1 to 70 years need about 10-15 micrograms (400-600 IU) per day. It is considered enough and safe, but for people who are deficient the requirement tends to be higher. Babies from birth to 1 year need between 8.5-10 micrograms (340-400 IU) per day.

Toxicity is rare but may occur if high dose of supplement is taken over a long time. This can cause calcium buildups which may weaken bones.

 

Ms Tazreen Mallick (RD)
BSc Dietetics and Nutrition (UK)
Grid (National Kidney Foundation, USA)
Clinical Dietitian, National Kidney Foundation and Research Institute
Visiting Consultant, Praava Health

রমজানে স্বাস্থ্যকর খাবার ও রোজা কীভাবে শরীরের উপর প্রভাব ফেলে?

রমজান আসার সাথে সাথে, আমরা পরিবার ও বন্ধুদের সাথে আমাদের রোজা পালনের অপেক্ষায় আছি। এই সময়টিকে আমরা ৩০ দিনের জন্য উদযাপন করি। এই সময় বেশিরভাগ বাংলাদেশীদের মধ্যে জীবন যাত্রার একটি পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়, যেমন-অনেকেই রোজা রেখে কম শারীরিক পরিশ্রম করে আর একই সাথে উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাদ্য তালিকায় যোগ করেন। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ বুঝতেই পারেন না যে, রোজা রাখা (ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খাদ্য ও পানীয় থেকে বিরত থাকা) আমাদের জন্য উপকারী হতে পারে যদি আমরা একটি স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাওয়ার প্যাটার্ন বজায় রাখি।  বিভিন্ন প্রমাণপত্র থেকে জানা যায়, কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললে আমাদের পক্ষে ওজন কমানো, আমাদের রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আনা সম্ভব।

রোজা কীভাবে শরীরের উপর প্রভাব ফেলে?

গ্লুকোজ হলো আমাদের শরীরের শক্তির প্রধান উৎস যা আমরা প্রধানত কার্বোহাইড্রেট থেকে পাই। এটি আমাদের মস্তিষ্ক, পেশী এবং টিস্যুগুলিকে কাজ করার জন্য শক্তির যোগান দেয়। কিন্তু অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট লিভার এবং পেশীগুলিতে জমা হয় যা এক সময় চর্বিতে পরিণত হয়। শরীর আসলে শেষ খাবার গ্রহন করার সময় থেকে পরবর্তি আট ঘন্টা পরে রোজা মোডে প্রবেশ করে। যখন শরীর জমিয়ে রাখার মত গ্লুকোজটি পুনরায় পূরণ করে, তখন এটি শক্তির জন্য চর্বি পোড়াতে শুরু করে, তাই আমাদের মধ্যে কারো কারো ওজন কমে যায়। এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে শরীর পানি সঞ্চয় করতে পারে না; তাই কিডনি রোজা কালীন সময় কমে যাওয়া পানির অনেকখানি সংরক্ষণ করার চেষ্টা করে। ক্লান্তি এবং ডিহাইড্রেশন রোধ করার জন্য সেহেরি এবং ইফতারের মধ্যে সুষম পুষ্টি এবং হাইড্রেশন দিয়ে শরীরকে পুনরায় পূরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

 

সেহেরি ও ইফতারের জন্য কী খাবেন এবং পান করবেন

আপনাকে প্রধান পুষ্টি উপাদানগুলির সাথে আপনার ইফতার এবং সেহেরির ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে এবং বিভিন্ন প্রকার খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে:

জটিল কার্বোহাইড্রেট (পুরো শস্য দানা-ওটস, বার্লি, ব্রাউন ব্রেড অ্যান্ড রাইস, ফল ও শাকসবজি, শিম) শক্তির দীর্ঘস্থায়ী উৎসের জন্য,

– ভিটামিন এবং খনিজ, ফাইবার এবং হাইড্রেশন জন্য পানি সমৃদ্ধ ফল এবং শাকসব্জী (উদাহরণস্বরূপ- তরমুজ, শসা, টমেটো, লেটুস)

–  ক্যালসিয়াম, রাইবোফ্লাভিন, আয়োডিনের জন্য কম চর্বিযুক্ত দুধ (কম চর্বিযুক্ত দই, দুধ)

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার (মাংস, মাছ, ডিম, শিম, দুগ্ধ) পেশী ভর বজায় রাখা ও

পুষ্টির জন্য অল্প পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট (জলপাই তেল, বাদাম, অ্যাভোকাডো, বীজ) বেশ কার্যকারী।

 

সেহেরি- এই সময়ে হালকা খাবার বেছে নেওয়া ভালো, একই সাথে বিভিন্ন প্রকার পুষ্টি মানের দিকে খেয়াল দিতে হবে। সম্পুর্ন শস্য দানার বিভিন্ন জাত এবং তরল সমৃদ্ধ খাবারগুলি খাদ্য তালিকার জন্য বেছে নিন, এগুলো আপনাকে দীর্ঘ সময় ধরে পুষ্টির যোগান দেবে এবং আপনাকে হাইড্রেটেড রাখবে।

 

ইফতার- আপনি ঐতিহ্য অনুসারে ১ থেকে ২ টি খেজুর দিয়ে আপনার রোজা ভাঙতে পারেন, মনে রাখবেন খেজুরে রয়েছে ফাইবার এবং পটাসিয়ামের উৎস, একই সাথে এটি ক্যালোরি সমৃদ্ধ। ইফতার আস্তে-ধীরে খাওয়া ভালো  কারণ খুব দ্রুত খাওয়ার ফলে অম্বল বা পাকস্থলিতে ফোলাভাব হতে পারে।

 

হাইড্রেশন- ডিহাইড্রেশন এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করতে ইফতার থেকে সেহেরি পর্যন্ত ১.৫-২ লিটার তরল পান করুন। রোয়া রাখার ফলে আপনার পানীয় গ্রহনের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করুন, বিরতিতে ধীরে ধীরে চুমুক দিন, খুব দ্রুত পান করা ঠিক নয় কারন পাকস্থলিতে ফোলাভাব সৃষ্টি করতে পারে। অতিরিক্ত ক্যালোরি যোগ না করেই পানি আপনাকে হাইড্রেট করে। দুধ এবং ফল ভিত্তিক পানীয় চিনি ছাড়াই গ্রহণ করা ভালো।

 

যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন

লবণ, মশলা এবং সিজনিংস- লবণ এবং মসলাযুক্ত খাবার (আচার, জলপাই, ফ্রাই) এড়িয়ে চলা ভালো কারণ তারা শরীর থেকে পানি শোষণ করে, অম্লতা এবং তৃষ্ণা বাড়ায়।

চিনি, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবো তেলে ভাজা খাবার- পুষ্টি কম, ওজন বৃদ্ধি, বদহজম এবং তৃষ্ণাকে বাড়িয়ে তোলে।

ক্যাফেইন- চা এবং কফিতে মূত্রবর্ধক উপাদান রয়েছে। অধিক গ্রহণ শরীর থেকে দ্রুত জল হারাতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।

কার্বনেটেড পানীয়– কার্বন পেটে ফাঁপা ভাব সৃষ্টি করে, পেট ভরে আছে এমন অনুভূতি সৃষ্টি করে এবং শরীরকে তরল গ্রহণ করতে বাধা দেয়।

ঠান্ডা তরল- ইফতারের শুরুতে বরফযুক্ত ঠান্ডা তরল পান করা হজম দক্ষতা কমিয়ে দেয় যার ফলে হজমের সমস্যা দেখা দেয়। যে কোন পানীয় প্রথমে হালকাভাবে ঠান্ডা করুন এবং ধীরে ধীরে এটি পান করুন।

যে ব্যক্তি কোন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন বা গর্ভাবস্থায় আছেন, বুকের দুধ খাওয়ানো, ডায়াবেটিস সহ যে সকল রোগের জন্য নিয়মিত ওষুধ গ্রহন করছেন এমন ব্যক্তির রোজা রাখার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

 

তাজরিন মল্লিক (আরডি)
BSc Dietetics and Nutrition (UK)
Grid (National Kidney Foundation, USA)
Clinical Dietitian, National Kidney Foundation and Research Institute
Visiting Consultant, Praava Health